
ফেসবুক পেজ channel 3 bangla
ফেসবুক পেজ channel 3 bangla
Monday ৩০ May ২০২২
Monday ৩০ May ২০২২
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৪ (চার) দিনব্যাপী বরিশাল বিভাগীয় রোভার মেট ওয়ার্কশপ এর আয়োজন করা হয়েছে।
২ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন কনফারেন্স কক্ষে ওয়ার্কশপ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. আহমেদ পারভেজ এর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর এ কে এম ফখরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শারিরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আবু হানিফ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০ জন রোভার ওয়ার্কশপে অংশগ্রহন করেন।#
Thursday ০২ June 2০২2
Tuesday ৩১ May ২০২২
আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস। আজও আমরা সমস্যায় পড়লে বাবা লোকনাথের একটি বাণী স্মরণ করি। লোকনাথ বাবা বলে গিয়েছেন, 'রণে বনে জঙ্গলে যখন বিপদে পরিবে, আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব।' লোকনাথ ব্রহ্মচারীর এই বাণীকে সম্বল করে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছি।
Loknath Baba-র তিরোধান দিবস আজ। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের ১৯ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি ১ জুন ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ) মহাপ্রয়ান লাভ করেন বাবা লোকনাথ। আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ৩ জুন লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস।
কথিত আছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে মহাসমাধি লাভ করেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। বারদীতে বসবাসকালে এক ভক্ত নিদের ছেলের যক্ষ্মা সারিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে তাঁরা কাছে আসেন। বাবা লোকনাথ বুঝতে পারেন যে সেই ছেলের আয়ু প্রায় শেষ। কিন্তু ভক্তের কল্যাণের উদ্দেশে তিনি সেই ছেলের শরীরের যক্ষ্মা নিজ শরীরে ধারণ করেন। সেই ভক্তের সন্তান ধীরে ধীরে রোগ মুক্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। কিন্তু যক্ষ্মা রোগ ক্রমশ বাবা লোকনাথের শরীরে বাড়তে থাকে। ১৯ জ্যৈষ্ঠ্য তিনি দেহত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এর পরই বারদী আশ্রমে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ১৯ জ্যৈষ্ঠ্যে দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে মহাসমাধিতে মগ্ন হন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১৬০ বছর বয়স।
বাবা লোকনাথকে শিব লোকনাথও বলা হয়। নিজের উপদেশের মাধ্যমে বহু যুগ ধরে জগৎ সংসারকে সমৃদ্ধ করেছেন বাবা লোকনাথ। আজও তাঁর সেই বাণী সমান প্রাসঙ্গিক। লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবসে তাঁর কিছু উপদেশ তুলে ধরা হল--
১. যাহারা আমার নিকট আসিয়া, আমার আশ্রয় গ্রহণ করে তাহাদের দুঃখে আমার হৃদয় আদ্র হয়। এই আদ্রতাই আমার দয়া ইহাই আমার শক্তি, যা তাদের উপর প্রসারিত হয় এবং তাহাদের দুঃখ দূর হয়।
২. সত্যের মতো পবিত্র আর কিছু নেই, সত্যিই স্বর্গ গমনের একমাত্র সোপান রূপ সন্দেহ নেই।
৩. যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ আর যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যাণ সাধন করেন তিনি যথার্থ জ্ঞানী।
৪. অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা আর তা ব্যয় করার সময় বিশ্ব দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোনও লাভ নেই।
৫. গর্জন করবি কিন্তু আহাম্মক হবি না, ক্রোধ করবি কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।
৬. যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ন, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে আর কখনও আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করেন না, এমন ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।
৭. আমিও তোদের মত খাই-দাই মল-মূত্র ত্যাগ করি। আমাকেও তোদের মতোই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি আর আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো। সবাই তো ছোট ছোট চাওয়া নিয়ে ভুলে রয়েছে, জানল না প্রকৃত আমি কে?
৮. দীন দরিদ্র অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি তা আমিই পাব, আমি গ্রহণ করব। দরিদ্রতায় ভরা সমাজের দুঃখ দূর করার চেষ্টা করবি।
৯. গীতা কি আর নিত্য পাঠ করাপর জিনিস, গীতা যে গীতা। গীতা পাঠ করলে কী হবে, শোনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি জীব হৃদয়ে বসে যে ভগবান নিত্য গীতা শোনাচ্ছেন, যেদিন শুনবি সেদিন গীতা হয়ে যাবি।
১০. প্রতিদিন রাতে শোবার সময় সারাদিনের কাজের হিসেব-নিকেশ করবি। অর্থাৎ ভালো কাজ কী কী করেছিস আর খারাপ কাজ কী কী করেছিস? যে সকল খারাপ বলে বিবেচনা করলি, সে সকল কাজ আর যাতে না করতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবি।
১১. আমার ওপর আস্থা, বিশ্বাস, যা বাড়বে, ততই তোদের সর্ব অভীষ্ট সফল হবে।
১২. যে কর্ম মনে তাপ সৃষ্টি করে তাই পাপ। যে কর্মের মধ্য দিয়ে আত্মসচেতনতা বা শক্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তোলে, তাই পুণ্য এবং স্বর্গ তুল্য।
১৩. আমি শরীর ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু ভক্তের রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদাই ভক্তের সঙ্গে রয়েছি। তোদের চোখ নেই, তাই তো তোরা আমায় দেখেও দেখিস না।
১৪. পিতা-মাতা তাঁরা যতই বৃদ্ধ হোক না-কেন পিতামাতাই। তাঁদের খুশি করার জন্য বিরক্ত না হয়ে বার বার তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিবি। আর কোনও কারণ জিজ্ঞাসা না-করে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করবি।
১৫. সূর্য উঠলে যেমন আধার পালিয়ে যায়, গৃহস্থের ঘুম ভেঙে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার বার বিচার করলে খারাপ কাজ করার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাইবে।
Tuesday ০৩ May ২০২২
Monday ০২ May 2০২2
নিয়ামতপুর(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে আনোয়ারা পোল্ট্রি ফার্মের গরম বাতাসের কারণে বোরো ধান চিটা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহিন আলম ও আলাউদ্দিন নয়, নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের উপরকুড়া শালবাড়ী গ্রামের অনেক কৃষকের স্বপ্নই নষ্ট হলো গরম বাতাসের কারণে। প্রায় ১৪ বিঘা জমিতে ওই গরম বাতাসের বোরো ধান চিটা হয়েছে। উপজেলার হাজিননগর ইউনিয়নের উপরকুড়া শালবাড়ী এলাকায় অবস্থিত আনোয়ারা পোল্ট্রি ফার্মের গরম বাতাসের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবী কৃষকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, আনোয়ারা পোল্ট্রি ফার্মের আশেপাশের, অনেক জমির ধান অনেকটা সাদা রং ধারণ করেছে৷ হঠাৎ উঠতি ফসলের এ অবস্থায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷ আনোয়ারা পোল্ট্রি ফার্মের কারণে ক্ষতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আনোয়ারা পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারীর সহকারী ম্যানেজার মতিউল হাসান বলেন, যে কৃষক অভিযোগ করেছে, এটা উদ্দেশ্যপ্রণীত বা ভিত্তিহীন। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি হয়েছে বা গরম বাতাসের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে আমার মনে হয় তাদের অভিযোগটি উদ্দেশ্যপ্রণীত বা ভিন্নহীন।
ভুক্তভোগী কৃষক শাহিন আলম ও আলাউদ্দিন জানান,ধার দেনা করে জমিতে ধান চাষ করেছি। আশা ছিল, এই ফসল থেকেই কেটে যাবে সারা বছর। কিন্তু আনোয়ারা পোল্ট্রি ফার্মের গরম বাতাসে সেই ধান চিটা হয়ে গিয়েছে। আমাদের ১৪ বিঘা আবাদ গরম বাতাসের কারণে ধান চিটা হয়েছে। এছাড়া সহ প্রায় কয়েক জন কৃষক এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তারা আরোও জানান, শেষ সম্বলটুকু দিয়ে আবাদ করে এভাবে তীরে এসে তরি ডোবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি৷ আবার বাতাসের কারণে আশেপাশে পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচরে আসে নাই। মাঠে ধান থাকা অবস্থায় অভিযোগ পেলে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কি কারণে ক্ষতি হয়েছে তা জানা যেত। যতি ধান ক্ষেতে গরম বাতাসে নিয়মিত প্রবাহিত হয়ে থাকে, তাহলে ক্ষেতে ধান ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অত্র এলাকার হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Friday ১৩ May ২০২২
Tuesday ১০ May ২০২২
চ্যানেল থ্রি বাংলা আইপি টিভি। বিজ্ঞাপন দিন সাথে থাকুন। আপনার এলাকার সংবাদ পাঠাতে পারেন channel3bangla@gmail.com এই মেইলে।অনলাইনে দেখতে ভিজিট করুন www.channel3bangla.comcom। ফেসবুক পেজ channel 3 bangla.
Monday ৩০ May ২০২২
Monday ৩০ May ২০২২
শেখ মোস্তফা কামাল যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ-
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে নকিম উদ্দিন (৬০) নামের এক বৃদ্ধাকে খুন করে চির যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার নেশায় পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখ তুলে নিয়ে যাওয়া বিকৃত মনের খুনি লিটনকে (৪০) ও হুকুমদাতা কবিরাজ আঃ বারেক (৬০) কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তারই পাশাপাশি নিহতের পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি এবং হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকু, রশি উদ্ধার করেছে। গত ১জুন দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার চরঘিওর মাঠে পুলিশ কৃষান সেজে খুনিকে এবং রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার লোকনাথপুর গ্রাম থেকে হুকুমদাতা ও তান্ত্রিক কবিরাজকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা থানার মোহাম্মদ জামা গ্রামের হানিফ আলী মালিতার ছেলে খুনি লিটন মালিতা এবং একই চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার লোকনাথপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আঃ বারেক কবিরাজ।
উল্লেখ্য, গত ৩০মে (সোমবার) সকালে বাঘারপাড়া থানার পশ্চিম পাইকপাড়া গ্রামের জনৈক গৃহস্থ বেনজির আহম্মেদ এর বসতবাড়ী থেকে ধুপখালী গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন এর ছেলে নকিম উদ্দিন (৬০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৬মে (বৃহস্পতিবার) নিহত নকিম উদ্দিন তার নিজ বাড়ীতে কাউকে কিছু না বলে বাঘারপাড়া ছাতিয়ানতলা বাজারে কৃষান দেওয়ার জন্য যায়। সেখান থেকেই নকিম উদ্দিনসহ ৩ জন কৃষানকে গৃহস্থ বেনজির আহম্মেদ তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ২দিন পর ১জন কৃষান চলে যায়। পরে ৩০মে (সোমবার) সকাল অনুমান ০৬:০০ ঘটিকার সময় বাড়ীওয়ালা বেনজির আহম্মেদ কৃষানদের ডাকতে গেলে সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখে কৃষান নকিম উদ্দিনের মরদেহ খাটে পড়ে আছে। পাশে থাকা অজ্ঞাত কৃষানকে ঘরে নেই। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত কৃষান নকিম উদ্দিনের সুরতহাল করতে গিয়ে দেখে তার ১টি চোখ ও পুরুষাঙ্গ নেই। আশপাশে তল্লাশী করেও নিহত নকিম উদ্দিনের ডান চোখের মনি ও পুরুষাঙ্গ খুজে পাওয়া যায় না।
এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহত নকিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে ৩১মে (মঙ্গলবার) বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। থানার মামলা নং-১৮।
ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার,বিপিএম (বার), পিপিএম ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তভার প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার এর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তপূর্বক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম গত ৩১মে (মঙ্গলবার) থেকে যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা শেষে ১জুন (বুধবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার চর ঘিওর মাঠে কৃষান সেজে ঘটনার প্রধান আসামী হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়া কৃষান লিটনকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে নিহত কৃষান নকিম উদ্দিনের চোখের মনি, অন্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ একটি খড়ের পাল্লা (বিছালী) এর মধ্য থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী লিটনের স্বীকারোক্তিতে ওইদিন রাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার লোকনাথপুর গ্রাম থেকে হুকুম দাতা তান্ত্রিক কবিরাজ আঃ বারেককে গ্রেফতার করে। ওইসময় তার বসতঘর থেকে তান্ত্রিক কবিরাজীর বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তান্ত্রিক কবিরাজ আঃ বারেক এর নির্দেশে বিকৃত মানসিকতার অধিকারী লিটন যৌন শক্তি বৃদ্ধি ও চির যৌবন প্রাপ্ত হওয়ার নেশায় দীর্ঘদিন যাবৎ নর-হত্যা পূর্বক পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে কৃষানের কাজ, রিক্সা চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। হত্যার চেষ্টা ও পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহের চেষ্টার একপর্যায়ে গত ২৬মে (বৃহস্পতিবার) বাঘারপাড়া সাতিয়ানতলা বাজারে এসে কৃষান হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার আগে নিহত কৃষান নকিম উদ্দিনের সাথে তার পরিচয় হয়। নকিম উদ্দিনকে টার্গেট করে তার সাথে গৃহস্থ বেনজির আহম্মেদ এর বাড়ীতে কৃষানের কাজে নিয়োজিত হন। পরবর্তীতে গত ২৯ মে (রবিবার) দিবাগত রাতে কবিরাজ বারেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার নির্দেশে রশি দিয়ে নকিম উদ্দিনের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বিকৃত মানসিকতার অধিকারী আসামী লিটন। হত্যা পরবর্তী পরিকল্পনা মোতাবেক লিটন নিহত কৃষান নকিম উদ্দিনের পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ কর্তন ও ডান চোখের মনি নিয়ে পালিয়ে যায়।
আসামী লিটন আরো জানায়, ইতোপূর্বে তান্ত্রিক কবিরাজ আঃ বারেক তাকে যৌন শক্তি বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে লিটনের সাথে একাধিকবার সম-কামি যৌন সঙ্গম করে বিকৃত মানসিকতা সৃষ্টি করেন। এরপর থেকে কবিরাজ বারেকের নির্দেশে লিটন বিভিন্ন পুরুষের সাথে সম্পর্ক করে প্রকৃতির নিয়মের বাহিরে যৌন সঙ্গম করে এবং পরিকল্পনা মোতাবেক পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহের নিমিত্তে নর-হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।
যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Wednesday ০১ June ২০২২
Tuesday ৩১ May ২০২২