
অনলাইনে দেখতে ভিজিট করুন wwww.channel3bangla.com
অনলাইনে দেখতে ভিজিট করুন wwww.channel3bangla.com
Monday ৩০ May ২০২২
Monday ৩০ May ২০২২
শেখ মোস্তফা কামাল যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ-
কেশবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের ত্রাসসৃষ্টিকারী, দূর্ধর্ষ চাঁদাবাজ এবং একাধিক মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী জামাল শেখ (৩৩) কে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (২৯মে) বিকেলে পৌরশহরের ত্রিমোহিনী মোড় এলাকা থেকে অপহরণ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে মধ্যকুল গ্রামের আব্দুল গনি শেখের ছেলে। ইতিপূর্বে জামালের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মারমারিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী জামাল গ্রেফতার হওয়ায় পৌরশহরসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক আবু সাঈদ লাভলুর আপন চাচাতো ভাই ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল এর ছেলে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মাছুম বিল্লাহ (২২) এবং ইকরামুল হোসেন (২৩) মটরসাইকেল যোগে কেশবপুর বাজারে আসার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হয়। কেশবপুর টু পাঁজিয়া সড়কের পথিমধ্যে পৌরশহরের বালিয়াডাঙ্গা হারেজ খাঁর ইট ভাটা এলাকায় পৌঁছালে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে জামাল বাহিনী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদেরকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা গন্তব্যস্থলে আটকে রেখে ওই দু'জনকে বেধড়ক মারপিট এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মাছুম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার চাচাতো ভাই নাজমুল এর ব্যবহৃত ফোনে কল করে নগত ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবীকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি তৎক্ষণিকভাবে নাজমুল কেশবপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। তারই পেক্ষিতে থানার পুলিশসহ এলাকার লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। বিষয়টি ব্যাপক জানাজানি হলে অপহরণকারীরা পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় মাছুম ও ইকরামুলকে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে সেখান থেকেই থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। অপহরণের ঘটনায় মাছুমের আপন চাচাতো ভাই পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক নাজমুল হোসাইন বাদী হয়ে জামালসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। থানার মামলা নম্বর-১৪। মামলা হওয়ার পর থেকে অপহরণকারীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত ছিল। তারই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২৯মে) বিকেলে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীনের নেতৃত্বে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক লিখন কুমার সরকার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে পৌরশহরের চিংড়া ও ত্রিমোহিনী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাল শেখকে গ্রেফতার করে।
জামালের বিষয়ে এলাকাবাসীর অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন, কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের গনি শেখের ছেলে জামাল শেখ ইজিবাইক চালানো ছেড়ে দিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। পৌরশহরের নতুন ভবন নির্মাণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন, জমিজমা ক্রয়-বিক্রয়, অবৈধভাবে জমিজায়গা দখল, মৎস্য ঘের দখল, কেউ বিদেশ থেকে ফিরে আসলে তাকেও ছাড় দেওয়া হয়না, বড় বড় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি। তাদের দাবি পূরণ না করায় অনেকেই তাদের হামলা ও মারপিটের শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন, আবার অনেকেই হয়েছেন অপহরণের শিকার। শুধু তাই নয়! নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করেছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, অপহরণ মামলায় দূর্ধর্ষ জামাল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে মারামারি, চাঁদাবাজি, অপহরণ মামলাসহ ৯ টি মামলা রয়েছে। অপহরণ হওয়া মাসুম ও ইকরামুলকে ঘটনার দিন রাতেই উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
Wednesday ০১ June ২০২২
চ্যানেল থ্রি বাংলা আইপি টিভি। বিজ্ঞাপন দিন সাথে থাকুন।
Monday ৩০ May ২০২২
Monday ৩০ May ২০২২
আপনার এলাকার ঘটে যাওয়া সংবাদ পাঠাতে পারেন এই মেইলে channel3bangla.com
Monday ৩০ May ২০২২
Monday ৩০ May ২০২২
আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস। আজও আমরা সমস্যায় পড়লে বাবা লোকনাথের একটি বাণী স্মরণ করি। লোকনাথ বাবা বলে গিয়েছেন, 'রণে বনে জঙ্গলে যখন বিপদে পরিবে, আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব।' লোকনাথ ব্রহ্মচারীর এই বাণীকে সম্বল করে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছি।
Loknath Baba-র তিরোধান দিবস আজ। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের ১৯ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি ১ জুন ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ) মহাপ্রয়ান লাভ করেন বাবা লোকনাথ। আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ৩ জুন লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস।
কথিত আছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে মহাসমাধি লাভ করেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। বারদীতে বসবাসকালে এক ভক্ত নিদের ছেলের যক্ষ্মা সারিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে তাঁরা কাছে আসেন। বাবা লোকনাথ বুঝতে পারেন যে সেই ছেলের আয়ু প্রায় শেষ। কিন্তু ভক্তের কল্যাণের উদ্দেশে তিনি সেই ছেলের শরীরের যক্ষ্মা নিজ শরীরে ধারণ করেন। সেই ভক্তের সন্তান ধীরে ধীরে রোগ মুক্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। কিন্তু যক্ষ্মা রোগ ক্রমশ বাবা লোকনাথের শরীরে বাড়তে থাকে। ১৯ জ্যৈষ্ঠ্য তিনি দেহত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এর পরই বারদী আশ্রমে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ১৯ জ্যৈষ্ঠ্যে দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে মহাসমাধিতে মগ্ন হন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১৬০ বছর বয়স।
বাবা লোকনাথকে শিব লোকনাথও বলা হয়। নিজের উপদেশের মাধ্যমে বহু যুগ ধরে জগৎ সংসারকে সমৃদ্ধ করেছেন বাবা লোকনাথ। আজও তাঁর সেই বাণী সমান প্রাসঙ্গিক। লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবসে তাঁর কিছু উপদেশ তুলে ধরা হল--
১. যাহারা আমার নিকট আসিয়া, আমার আশ্রয় গ্রহণ করে তাহাদের দুঃখে আমার হৃদয় আদ্র হয়। এই আদ্রতাই আমার দয়া ইহাই আমার শক্তি, যা তাদের উপর প্রসারিত হয় এবং তাহাদের দুঃখ দূর হয়।
২. সত্যের মতো পবিত্র আর কিছু নেই, সত্যিই স্বর্গ গমনের একমাত্র সোপান রূপ সন্দেহ নেই।
৩. যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ আর যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যাণ সাধন করেন তিনি যথার্থ জ্ঞানী।
৪. অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা আর তা ব্যয় করার সময় বিশ্ব দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোনও লাভ নেই।
৫. গর্জন করবি কিন্তু আহাম্মক হবি না, ক্রোধ করবি কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।
৬. যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ন, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে আর কখনও আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করেন না, এমন ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।
৭. আমিও তোদের মত খাই-দাই মল-মূত্র ত্যাগ করি। আমাকেও তোদের মতোই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি আর আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো। সবাই তো ছোট ছোট চাওয়া নিয়ে ভুলে রয়েছে, জানল না প্রকৃত আমি কে?
৮. দীন দরিদ্র অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি তা আমিই পাব, আমি গ্রহণ করব। দরিদ্রতায় ভরা সমাজের দুঃখ দূর করার চেষ্টা করবি।
৯. গীতা কি আর নিত্য পাঠ করাপর জিনিস, গীতা যে গীতা। গীতা পাঠ করলে কী হবে, শোনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি জীব হৃদয়ে বসে যে ভগবান নিত্য গীতা শোনাচ্ছেন, যেদিন শুনবি সেদিন গীতা হয়ে যাবি।
১০. প্রতিদিন রাতে শোবার সময় সারাদিনের কাজের হিসেব-নিকেশ করবি। অর্থাৎ ভালো কাজ কী কী করেছিস আর খারাপ কাজ কী কী করেছিস? যে সকল খারাপ বলে বিবেচনা করলি, সে সকল কাজ আর যাতে না করতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবি।
১১. আমার ওপর আস্থা, বিশ্বাস, যা বাড়বে, ততই তোদের সর্ব অভীষ্ট সফল হবে।
১২. যে কর্ম মনে তাপ সৃষ্টি করে তাই পাপ। যে কর্মের মধ্য দিয়ে আত্মসচেতনতা বা শক্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তোলে, তাই পুণ্য এবং স্বর্গ তুল্য।
১৩. আমি শরীর ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু ভক্তের রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদাই ভক্তের সঙ্গে রয়েছি। তোদের চোখ নেই, তাই তো তোরা আমায় দেখেও দেখিস না।
১৪. পিতা-মাতা তাঁরা যতই বৃদ্ধ হোক না-কেন পিতামাতাই। তাঁদের খুশি করার জন্য বিরক্ত না হয়ে বার বার তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিবি। আর কোনও কারণ জিজ্ঞাসা না-করে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করবি।
১৫. সূর্য উঠলে যেমন আধার পালিয়ে যায়, গৃহস্থের ঘুম ভেঙে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার বার বিচার করলে খারাপ কাজ করার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাইবে।
Tuesday ০৩ May ২০২২
Monday ০২ May 2০২2
আপনার এলাকার সংবাদ পাঠাতে পারেন channel3bangla@gmail.com এই মেইলে।
Monday ৩০ May ২০২২
Monday ৩০ May ২০২২